Physics পড়তে বেশি সময় লাগে কেন?

এটা খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। আমরা প্রায় সবাই এ সমস্যাটা face করে থাকি, বিশেষ করে যারা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। কারণ HSC Physics তুলনামূলক একটু বড় হয়। ১ম ও ২য় মিলিয়ে ২ টা বিষয়। তার উপরে আবার সময় থাকে কম। এখন এই সমস্যা থেকে কিভাবে প্রতিকার পাওয়া যায়? চলো নিচে আলোচনা করা যাক।

আমরা সবাই পদার্থবিজ্ঞানের কোনো অধ্যায় পড়ার সময় প্রথমে কি করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রিডিং পড়ার চেষ্টা করি। এটা সবচেয়ে বড়  ভূল। কারণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রিডিং পড়ার সময় আমরা অনেক সময় ব্যায় করে ফেলি। আর কোনো টপিক পড়ার সময় শুরুতে আমাদের ব্রেন যেমন এক্টিভ থাকে শেষের দিকে তেমন থাকে না। ফলে যে সমস্ত টপিক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে সমস্ত টপিকের প্রতি আমরা ভুল বসত কম গুরুত্ব দিয়ে থাকি বা কম পড়া হয়ে থাকে। আর যে সমস্ত টপিক কম গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আমরা ভালো করে পড়ে থাকি। এর ফলে পরিক্ষায় আমাদের আশানুরূপ ফলাফল হয় না আর আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। এখন উপায় কি?

পদার্থবিজ্ঞানের কোনো চ্যাপ্টার শুরু করার আগে আমাদের প্রথমে ঐ চাপ্টারের Question bank analysis করতে হবে। আমাদের খুজে বের করতে হবে কোন টপিক থেকে বিগত বছরগুলোতে বোর্ড পরিক্ষায় প্রশ্ন বেশি এসেছে।যে সমস্ত টপিক থেকে বিগত বছর গুলোতে বোর্ড পরিক্ষায় বেশি প্রশ্ন এসেছে সে সমস্ত টপিক আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো বইয়ে দাগিয়ে রাখব বা খাতায় লিখে রাখব। পদার্থবিজ্ঞানের কোনো চ্যাপ্টার শুরু করার সময় আমরা প্রথমে ঐ চ্যাপ্টার সম্পর্কে কিছু basic ধারণা নিয়ে নিবো। আমরা আবারও বলছি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রিডিং পড়া যাবে না। এরপর আরা ঐ গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়ে ফেলবো। এতে আমরা ঐ চ্যাপ্টার থেকে প্রশ্ন আসলে আমরা খুব সহজেই answer করতে পারবো এবং ভালো মার্ক পাবো। যে সমস্ত টপিক অতোটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বা যে সমস্ত টপিক থেকে বিগত বছর গুলোতে বেশি প্রশ্ন আসেনি অর্থাৎ কম গুরুত্বপূর্ণ সে সমস্ত টপিকের প্রতি কম গুরুত্ব দিলেও হবে বা কম পড়লেও হবে। এতে আমরা পদার্থবিজ্ঞানের কোনো চ্যাপ্টার তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারবো এবং ঐ চ্যাপ্টার থেকে ভালো মার্কস পাবো।