নিজে পড়ার সময় বের করব কিভাবে?

বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগই কোচিং মুখী হয়ে পড়েছে। এমনকি অভিভাবকদের মাঝেও তাদের সন্তানদের কত বেশি কোচিং করাতে পারে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা দিনের বেশিরভাগ সময় স্কুল এবং কোচিং এ কাটিয়ে দেয়। যার কারণে তারা খেলাধুলা করার সময়ও পায় না। এর ফলে তাদের শারীরিক এবং মানসিক উভয়েরই অবনতি ঘটে। সারাদিন কোচিং করে, বাসায় প্রাইভেট টিউটর রেখেও ভালো ফলাফল করা সম্ভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজে পড়বো।



এখন কথা হচ্ছে নিজে পড়ার সময় বের করব কিভাবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে স্কুল-কলেজে যেতে হয়। যাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুরে, তাদের অবস্থা আরো করুন। চার-পাঁচ ঘন্টা তাদের যাতায়াতে কেটে যায়। এর পরে থাকে কোচিং। অনেক শিক্ষার্থী রাত জেগে পড়ে এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার কারণে কম ঘুম হয়। এরে ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।


এতো কিছুর ভেতরে নিজে পড়ার সময় বের করা কঠিন, থাকালেও সেটা খুবই অল্প। এর ফলে আমাদের একাডেমিক পরিক্ষার ফলাফল খারাপ হয়।


আমাদের উচিত যত বেশি পারা যায় কোচিং কমিয়ে আনা। বেশি বেশি কোচিং করে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব নয়। যেসমস্ত বিষয় কোচিং ছাড়া চলেই না যেমন ম্যাথ, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এসমস্ত বিষয়ের জন্য আমরা কোচিং করতে পারি। আর যেসমস্ত বিষয় নিজে পড়ে শেষ করা যায় সেসমস্ত বিষয় বাসায় পড়া। বর্তমানে অনলাইনে অনেক ভালো ভালো শিক্ষক পাওয়া যায় এবং লাইভ ক্লাসের ও সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও অনেক ক্র্যাশ কোর্স চালু হয়েছে যেখানে সবগুলো বিষয় ভালোভাবে পড়ানো হয়। এই কোর্সগুলোতে জয়েন হওয়ার মাধ্যমে আমরা বাসায় বসে ভালো প্রিপারেশন নিতে পারি। এরফলে আমাদের সময় এবং টাকা দুটোই বেঁচে যায় এবং আমরা নিজে পড়ার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়ে থাকি।


প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এর থেকে কম হলে আমরা ভালোভাবে পড়তে পারবো না। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। তবে অতিরিক্ত ঘুমানো যাবে না। তাহলে আমাদের পড়ার সময় কমে যাবে। অনেক শিক্ষার্থী রাত জেগে পড়ে। রাত জেগে পড়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না। রাত জেগে পড়ার ফলে আমাদের অনেক শারীরিক অবনতি ঘটে। তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। এজন্য আমাদের রাত ১০ টার ভিতরে ঘুমাতে হবে এবং ভোরে ভোরে ঘুম থেকে ওঠতে হবে। সকালের সময়টা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সকালে আমাদের মেজাজ ফুরফুরে থাকে এবং আমাদের ব্রেনের সকল অংশ সক্রিয় থাকে। এই পুরোটা সময় আমরা নিজে পড়ার জন্য রেখে দিব। সকালের এক ঘন্টা পড়া অন্য সময়ের তিন ঘন্টা পড়ার সমান।


আশা করি এভাবে পড়া-লেখা আমরা নিজে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url