রসায়নে কিভাবে ভালো করা যায়?
বিজ্ঞানের অন্যতম বিষয় হলো রসায়ন। অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের কাছে রসায়ন অনেক ভালো লাগে, আবার অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের কাছে রসায়ন অনেক কঠিন একটি বিষয়। আসলে কোনো বিষয়ই কঠিন নয়। ভালো মতো পড়লে আমরা সব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবো। রসায়ন কঠিন লাগার অন্যতম কারণ হচ্ছে রসায়ন কিভাবে পড়তে হয় এটা না জানা। রসায়ন পড়ার এবং পরিক্ষায় লিখার কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো জানা এবং অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা রসায়নের ভীতি কাটাতে পারবো।
রসায়ন থিওরি এবং অঙ্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিষয়। রসায়নের থিওরি অন্য সাধারণ বিষয়ের থেকে একটু জটিল হয়ে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকটি কনসেপ্ট ভালোভাবে বুঝতে হবে। আর রসায়নের প্রত্যেকটা টপিক একটার সাথে অন্যটা রিলেটেড। তাই একটা টপিক ভালো মতো না বুঝে অন্যটাতে গেলে আমরা কিছুই বুঝবো না। যার কারণে রসায়ন আমাদের কাছে কঠিন মনে হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকটা টপিক ভালোভাবে বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে ক্লাসে যখন শিক্ষক লেকচার দেন তখন পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। অমনোযোগী হওয়া যাবে। আর লেকচারের মাঝখানে কোনো কিছু না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতে হবে।
রসায়নের নোটখাতা থাকা অপরিহার্য। নোটখাতা না থাকলে আমরা পরিক্ষার আগে কোনো চ্যাপ্টার ভালোভাবে রিভিশন দিতে পারবোনা। আর নোটখাতা হবে ফ্রেশ, গোছানো এবং মার্জিত। যেন আমরা চোখ বোলালেই ওই চ্যাপ্টারের সবকিছু আমাদের মাথায় চলে আসে। আমাদের হাতে সময় কম থাকলে ক্লাসে যে খাতায় লিখি ওই খাতাই নোট খাতা হিসেবে রাখতে হবে। আর সময় বেশি থাকলে বাসায় সুন্দর আবার লিখতে হবে। আর বিভিন্ন কালারের কালার পেন ব্যবহার করলে সুন্দর এবং মার্জিত দেখাবে।
রসায়নে দুর্বলতার আরেকটা কারণ হচ্ছে বিক্রিয়া অনুশীলন না করা। যার কারণে পরিক্ষায় সঠিক বিক্রিয়া না লেখার কারণে নাম্বার কম পাই। এজন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণের বিক্রিয়া অনুশীলন করতে হবে। বিক্রিয়া সঠিক হলে ৭০ শতাংশ নাম্বার আমরা পেয়ে যাই। এজন্য বিক্রিয়া লেখা অনুশীলন করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
রসায়নের যে ম্যাথ গুলো দেয় সেগুলো তুলনামূলক সহজ হলেও, একটু চিন্তা করে করে উত্তর লিখতে হয়। আর রসায়নে সুত্রগুলো পদার্থবিজ্ঞানের মতো নয় তাই আমাদের সুত্রগুলো খাতায় লিখে লিখে অনুশীলন করতে হয়। অনুশীলন না করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা ভুলে যাই। আর নৈর্বিত্তিক প্রশ্নের উত্তর কম সময়ে দেয়ার জন্য সুত্র ভালোভাবে জানাটা গুরুত্বপূর্ণ পূর্ণ। আর মৌলের পারমাণবিক ভর, যোজনী, পর্যায় সারণীতে মৌলের অবস্থান মনে রাখতেই হবে। এজন্য আমাদের পর্যায় সারণীর ওপর দখল রাখতে হবে। এগুলো না জানলে আমরা অঙ্ক করতে পারবো না। কারণ পদার্থবিজ্ঞানের অঙ্কতে আমাদের রাশির মান দেয়া থাকে। কিন্তু রসায়নের অঙ্কতে আমাদের রাশির মান দেয়া থাকে না। তাই এগুলো মনে রাখা অপরিহার্য।
আশা করি এই নিয়মগুলো মেনে চললে আমরা রসায়নে ভালো করতে পারবো। আমাদের রসায়ন নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url